গত মাসে ষড়যন্ত্র মামলায় পাঁচ বছরের জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত হন ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি। তবে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে তিনি কারামুক্ত হয়েছেন। এই সময় কারাভোগের পর সোমবার আদালত তার মুক্তির আদেশ দিলে বিকেল নাগাদ প্যারিসের লা সান্তে কারাগার থেকে তিনি বের হন। স্থানীয় সময় বিকেল ৩ টায় তার গাড়ি কারাগার ত্যাগ করতে দেখা যায়। এরপর তিনি পশ্চিম প্যারিসে নিজের বাসভবনে ফিরে যান।
দেশটির গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, আদালত সারকোজির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি মঞ্জুর করে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তিনি ফ্রান্স ত্যাগ করতে পারবেন না এবং বিচার মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মচারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে মামলার অন্যান্য সাক্ষীদের সঙ্গে যোগাযোগ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২১ অক্টোবর ৭০ বছর বয়সী এই সাবেক কেন্দ্র-ডানপন্থী প্রেসিডেন্টকে ২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারে লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির অর্থ সহায়তা গ্রহণের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর তার আইনজীবীরা অবিলম্বে মুক্তির আবেদন করেন। সারকোজির আইনজীবী ক্রিস্টফ ইংগ্রাঁ বলেন, “এটি আমাদের জন্য একটি অগ্রগতি। এখন আমরা মার্চে শুরু হওয়া আপিল শুনানির প্রস্তুতি নেব।”
ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আদালতে বক্তব্য দিতে গিয়ে সারকোজি বলেন, কারাগারে একাকী অবস্থান ছিল দুঃসহ এবং এক দুঃস্বপ্নের মতো। তবে তিনি কারা কর্মকর্তাদের মানবিক আচরণের প্রশংসা করেন। সারকোজি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কখনো গাদ্দাফির কাছে অর্থ চাওয়ার পাগলাটে ধারণা করিনি এবং আমি যা করিনি, তা কখনো স্বীকার করব না।