দক্ষিণী চলচ্চিত্রে এক উজ্জ্বল নাম হয়ে উঠেছেন ঐশ্বরিয়া লক্ষ্মী। ২০১৪ সালে মডেলিং দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু করা এই অভিনেত্রী ২০১৭ সালে ‘নাজানডুকালুড নাটিল ওরিদাভেলা’ দিয়ে রূপালি পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। তবে সেই বছরেই আশিক আবু পরিচালিত মালয়ালম চলচ্চিত্র ‘মায়ানদী’ বদলে দেয় তাঁর ক্যারিয়ারের গতি।
ফরাসি নির্মাতা জঁ-লুক গদারের ‘ব্রেথলেস’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত এই রোমান্টিক থ্রিলারটির সংলাপ তরুণদের মুখে মুখে ফেরে। টানা সফলতার ধারাবাহিকতায় মালয়ালম ছাপিয়ে ঐশ্বরিয়ার পদচারণা শুরু হয় তামিল, তেলেগু ও হিন্দি সিনেমায়।
২০১৯ সালে তামিল ছবিতে আত্মপ্রকাশের পর ২০২২ সালে প্রথম তেলেগু ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। ২০২৩ সালে সরাসরি ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া থ্রিলার ‘কানাকানি’ তাঁকে এনে দেয় দশম সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা মালয়ালম অভিনেত্রীর পুরস্কার। এর আগেও ‘মায়ানদী’ চলচ্চিত্রের জন্য একবার এই পুরস্কার জয় করেন।
সম্প্রতি মণিরত্নম পরিচালিত ‘থাগ লাইফ’ সিনেমায় অভিনয় করে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন ঐশ্বরিয়া লক্ষ্মী। ছবিটি মুক্তির চার দিনের মাথায় ভারতের বক্স অফিসে আয় করেছে ৩৫ কোটি রুপি। এতে তাঁর সহশিল্পী ছিলেন কিংবদন্তি কমল হাসান ও তৃষ্ণা কৃষ্ণান।
পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়া বলেন, “পুনগুজালি চরিত্রটি আমাকে অভাবনীয় ভালোবাসা দিয়েছে। এতে কাজ করে আমি কৃতজ্ঞ। এটি আমার জন্য সৌভাগ্যের দরজা খুলে দিয়েছে।” মণিরত্নমের সঙ্গে আবার কাজ করার সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভাবিনি এত দ্রুত আবার তাঁর সঙ্গে কাজ করব। এমন নির্মাতার সঙ্গে কাজ করা সব অভিনেত্রীর স্বপ্ন।”
ভবিষ্যতে আরও বেশি নারীপ্রধান সিনেমায় কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি। ঐশ্বরিয়া লক্ষ্মী এখন ভারতের অন্যতম ব্যস্ত ও প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।