উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং টানা বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার হাতিবান্ধা উপজেলার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার মাত্র ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সে সময় পানির স্তর ছিল ৫২.০৮ মিটার, যেখানে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২.১৫ মিটার।
মাত্র কয়েক ঘণ্টায় পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে যাওয়ায় হাতিবান্ধা, আদিতমারী ও সদর উপজেলার নিচু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
হাতিবান্ধার গড্ডিমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা রবিউল হাসান বলেন, “সকালে প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছে, আর উজান থেকেও পানি নেমে আসছে। নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে।” আদিতমারীর চন্ডিমারী ও গোবরধন এলাকাতেও একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রিপন মিয়া জানান, “নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে রাতে ঘরেও পানি ঢুকে যেতে পারে।”
ডালিয়া ব্যারাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, পানির চাপ সামলাতে ব্যারাজের ৪৪টি গেটই খুলে রাখা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই পানি বাড়তে শুরু করে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের লালমনিরহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, “উজানের পানি ও টানা বৃষ্টির কারণে নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি আমরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছি।”
নদীর পানি বাড়তে থাকলে রোববার রাতের মধ্যেই নদী তীরবর্তী বহু ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।