Ridge Bangla

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউ শুনানি শুরু

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাজনৈতিক দল ও ছয় বিশিষ্ট ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি কার্যক্রম শুরু হয়।

চলতি বছরের ২১ আগস্ট আইনজীবী শিশির মনির আদালতে আবেদন করেন যাতে বিষয়টির শুনানি দ্রুত শেষ করা হয়। তিনি জানান, বারবার তালিকায় ওঠার পরও এতদিন শুনানি হয়নি। তখন প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, তবে শুনানি শেষ করতে পারব কি না তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।” এরপর আদালত ২৬ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন। ওই রায়ের মাধ্যমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করে এই রায় ঘোষণা করা হয়েছিল।

পরে গত বছরের অক্টোবরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। তারও আগে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি একই ধরনের আবেদন করেছিলেন। অন্য চারজন হলেন—তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে যুক্ত হয় ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ কয়েকজন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে এবং ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট বিশেষ বেঞ্চ থেকে রায় দেয়। সে রায়ে ত্রয়োদশ সংশোধনীকে সংবিধানসম্মত ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিল করার অনুমতিও দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে বাংলাদেশে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসে। এরপর ২০১১ সালে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে:

আরো পড়ুন