ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ বাতিল হওয়ার পর এর অধীনে থাকা সব মামলা ও রায়ও অবশেষে বাতিল ঘোষণা করেছে সরকার। ফলে এ আইনের অধীনে সাজাপ্রাপ্ত ও মামলার আসামিরা সবাই দায়মুক্তি পাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়। বৈঠক শেষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে নতুন উপধারা যুক্ত করে স্পষ্ট করা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে থাকা সব মামলা, তদন্ত ও কার্যক্রম বাতিল হবে। একই সঙ্গে এ আইনের অধীনে আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত সব দণ্ড ও জরিমানাও অকার্যকর বলে গণ্য হবে।
২০১৮ সালে ভার্চুয়াল জগতে অপরাধ দমনের লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। তবে এর একাধিক ধারাকে ‘নিবর্তনমূলক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী’ হিসেবে ব্যাপক সমালোচনা করা হয়। ২০২৩ সালে আইনটিতে আংশিক সংশোধন আনা হলেও বিতর্ক থামেনি। পরে অন্তর্বর্তী সরকার এসে আইনটি পুরোপুরি রহিত করে নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে।
বৈঠকে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশ অনুমোদন করা হয়—‘ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ এবং ‘জাতীয় উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে থাকা সব মামলা বাতিলের ফলে অনেক ভুক্তভোগী স্বস্তি পেলেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় সরকারের আন্তরিকতা প্রমাণিত হলো।”