সন্ত্রাসবাদের গল্প নিয়ে দুই বছর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ চলচ্চিত্রটি আবারও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। সুদীপ্ত সেন পরিচালিত এই সিনেমাটি ৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা পরিচালক ও সেরা সিনেমাটোগ্রাফির পুরস্কার জিতেছে।
কিন্তু এই স্বীকৃতি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি এই সিদ্ধান্তকে কেরালার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
ছবিটিতে কিছু তরুণীর গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যারা প্রেমের ফাঁদে পড়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে এবং পরে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। মুক্তির পর থেকেই এই সিনেমাটি তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়। কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যে ছবিটি নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছিল। তবে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ভারতের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে এটি মুক্তি পায়।
পুরস্কার ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “এই সিনেমাটি স্পষ্টভাবে কেরালার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। কেরালায় শিক্ষার মান যথেষ্ট উচ্চ পর্যায়ে আছে। ছবিটি যেভাবে তরুণ সমাজকে দেখিয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুল এবং রাজ্যের ধর্মীয় পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। যারা এই চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করেছেন, তারা সংঘ পরিবারকে সন্তুষ্ট করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
কেরালার কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপালও সমালোচনায় অংশ নেন। তিনি বলেন, “জাতীয় পুরস্কার নয়, বরং এই সিনেমাটিকে আবর্জনার স্তূপে ফেলা উচিত। এটি কেরালার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। কেরালা এই অপমান কখনোই মেনে নেবে না।”
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ চলচ্চিত্রকে ঘিরে পুরস্কার প্রাপ্তির পরও বিতর্ক থামছে না। একদিকে সম্মাননা, অন্যদিকে সমালোচনার ঝড়—সব মিলিয়ে চলচ্চিত্রটি এখন জাতীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।