গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিশ্চিত করতে বহুল আলোচিত ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ গেজেট প্রকাশ করে। এর মধ্য দিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো গুমকে স্বতন্ত্র ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হলো।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কাউকে গ্রেফতার, আটক, অপহরণ বা স্বাধীনতা হরণের পর বিষয়টি অস্বীকার করা এবং ভুক্তভোগীর অবস্থান গোপন রাখাকে ‘গুম’ হিসেবে গণ্য করা হবে। এ ধরনের অপরাধে দায়ী ব্যক্তি সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বা কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে এটি সমানভাবে প্রযোজ্য হবে, এবং অপরাধটি জামিন ও আপস অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। অধ্যাদেশে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব ট্রাইব্যুনাল গুমসংক্রান্ত অভিযোগ দ্রুত তদন্ত ও বিচারকার্য সম্পন্ন করবে। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ বাধ্যতামূলক।
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদ অধ্যাদেশটির খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।