বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে আমাদের অনুসন্ধান চলছে। আমরা আশঙ্কা করছি, তিনি দুদকের আসামিও হতে পারেন।”
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, সাকিব অতীতে দুদকের বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছেন, অথচ তার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে- এই পরস্পরবিরোধী অবস্থান সম্পর্কে কী ভাবছেন? উত্তরে দুদক চেয়ারম্যান জানান, “এটি এখনো অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে। অনুসন্ধানের পর বোঝা যাবে।”
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সাকিব আল হাসান দুদকের হটলাইন-১০৬ উদ্বোধন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে সংস্থাটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেছিলেন। তবে ২০২২ সালে বিভিন্ন অভিযোগের কারণে তার সঙ্গে চুক্তি আর নবায়ন করা হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিলহানুর রহমান নাওমী ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট সাকিবের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে দুদকে অভিযোগ দাখিল করেন। সেই আবেদনে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, জুয়া ও জুয়ার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, সোনা চোরাচালান, কাঁকড়া ব্যবসায় অর্থ আত্মসাৎ, ক্রিকেটে দুর্নীতি এবং নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ উল্লেখ ছিল।
পরবর্তীতে ৮ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) সাকিবের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এছাড়া, ৫ আগস্ট আদাবরে পোশাক কারখানার কর্মী রুবেল হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলায় সাকিব আল হাসানকেও আসামি করা হয়। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
সাকিবের বিরুদ্ধে চলমান এসব অভিযোগে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এবং আইন অঙ্গনে আলোচনার ঝড় বইছে। অনুসন্ধানের ফলাফল এবং আইনি পদক্ষেপের দিকে এখন সবার দৃষ্টি।