গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ব্যবসায়িক লেনদেনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে উপজেলার মাঝবাড়ি ও বংকুরা গ্রামের শতাধিক মানুষ দেশীয় অস্ত্র, ইট-পাটকেল নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হন এবং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বংকুরা গ্রামের রিয়াজুল শেখ ভাঙ্গারি ব্যবসার জন্য কুশলা ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের ফারুক হোসেনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময়ে টাকা ফেরত না দেওয়ায় ফারুক বিষয়টি তার শ্বশুর মাঝবাড়ি গ্রামের আলিনুর দাড়িয়াকে জানান। এরপর আলিনুরের নেতৃত্বে লোকজন রিয়াজুলের কাছে টাকা চাইতে গেলে বচসা শুরু হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে দুই পক্ষ লোক জড়ো করে এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন—পারভেজ শেখ, মানিক শেখ, সাদ্দাম শেখ, শাকিল খান, ফয়সাল শেখ, আবু সাঈদ শেখ, সজীব শেখ, রনি শেখ, সোহেল সুলতান, আফ্রিদি সেক, মোস্তফা শেখ, নুরুন্নবী ও আমানুল্লাহ। আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কোটালীপাড়া থানার এসআই মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, “এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”