ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের বেদুনদিয়া গ্রামে গভীর রাতে এক বসতবাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ডাকাতদল প্রায় ১৩ ভরি স্বর্ণ, ২ ভরি রুপা এবং নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা লুট করেছে।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৫০ মিনিটে। ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান জিয়া শাহ স্থানীয় বাসিন্দা মো. আক্কেল আলী শাহের ছেলে। পেশায় তিনি একজন মোটরগাড়ির চালক ও ব্যবসায়ী।
জিয়ার ছোট ভাই রুবেল শাহ জানান, প্রতিদিনের মতো জিয়া তার প্রাইভেট কারে গ্যাস রিফিল করতে অরণকোলা গ্যাস পাম্পে যান। যাওয়ার সময় বাড়ির মূল ফটক ভেতর থেকে শুধু ভেজানো ছিল। এই সুযোগে চারজন মুখোশধারী ডাকাত দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তলসহ বাড়ির দোতলায় ঢুকে পড়ে।
রুবেল আরও বলেন, “তারা আমাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সবাইকে একে একে বেঁধে ফেলে। তারপর ঘরের আলমারি, ওয়ারড্রোবসহ সব আসবাবপত্র তল্লাশি করে।”
জিয়ার স্ত্রীর বোনের স্বামী জুয়েল বলেন, “রাতের ঘুম ভাঙতেই শুনি কেউ ধমক দিয়ে বলছে, ‘আমরা ডাকাত, যা কিছু আছে চুপচাপ দিয়ে দে।’ পরে তারা আমাদের মুখ বেঁধে ফেলে এবং তল্লাশি চালায়।”
জিয়ার স্ত্রী নাসরিন বেগম বলেন, “আমাকে অস্ত্র দেখিয়ে অলংকার খুলতে বাধ্য করা হয়। আমি এবং আমার মেয়ের গায়ে থাকা সব অলংকার নিজের হাতে খুলে দেই। চিৎকার করার চেষ্টা করলে সিড়িতে দাঁড়ানো এক ডাকাত সদস্য বড় রামদা দিয়ে কেটে ফেলার হুমকি দেয়।”
জিয়া জানান, “ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। পরে পরিবারের ফোন পেয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরে জানতে পারি, নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা, ১৩ ভরি স্বর্ণ, ২ ভরি রুপার গয়না ও ৬টি স্মার্টফোন ডাকাতরা নিয়ে গেছে।”
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম শহীদ বলেন, “বিষয়টি জানার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”