মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার পর নতুন করে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এই উত্তেজনার জেরে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের দামও। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি প্রায় ৯ শতাংশ বেড়ে ৭৫ ডলার ছাড়িয়ে গেছে, আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) তেলের দাম ৭৪ ডলারেরও বেশি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মূল উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দু হরমুজ প্রণালি—যার মাধ্যমে বিশ্বের মোট জ্বালানির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ সরবরাহ হয়। ইরান যদি পাল্টা হামলা চালায় এবং এই প্রণালিতে সরবরাহ ব্যাহত হয়, তাহলে দিনে প্রায় দুই কোটি ব্যারেল তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “ইসরায়েলকে এই হামলার কঠিন মূল্য দিতে হবে।” অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা এই হামলায় জড়িত নয় এবং ইরান যেন তাদের স্বার্থে আঘাত না করে, সে বিষয়ে সতর্ক করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি যেকোনো সময় আরও খারাপের দিকে মোড় নিতে পারে। যদি সংঘাত আরও তীব্র হয়, তাহলে শুধু জ্বালানি নয়, বিশ্বজুড়ে পণ্যমূল্য, জীবনযাত্রার খরচ ও সরবরাহ ব্যবস্থাও চাপে পড়বে।