বলিউডের প্রেম, বিয়ে ও বিচ্ছেদের গল্প নতুন কিছু নয়। তবে কিছু সম্পর্কের অধ্যায় সময়ের পরিক্রমায়ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকে। তেমনই একটি সম্পর্ক হলো অভিষেক বচ্চন ও কারিশমা কাপুরের, যেখানে ছিল দীর্ঘদিনের প্রেম, বাগদানের উচ্ছ্বাস, আর আচমকাই বিচ্ছেদের কষ্ট।
দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর ২০০২ সালে অমিতাভ বচ্চনের ৬০তম জন্মদিনে জয়া বচ্চন আনুষ্ঠানিকভাবে কারিশমা ও অভিষেকের বাগদানের ঘোষণা দেন। সেই সময় বলিউডে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এক বছরও স্থায়ী হয়নি এই খুশির অধ্যায়। ২০০৩ সালে আচমকাই ভেঙে যায় এই বাগদান।
সম্প্রতি কারিশমার একটি পুরনো সাক্ষাৎকার আবার সামনে এসেছে, যেখানে তিনি সেই সময়টিকে জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “আমার কষ্ট ও যন্ত্রণা একাই সামলেছি। আমি চাই না কোনো মেয়ের জীবনে এমন অভিজ্ঞতা আসুক।” সেই সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বিচ্ছেদের পর নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন এবং জনসমক্ষে দুঃখ প্রকাশে প্রস্তুত ছিলেন না। “আমি সম্মানের সঙ্গে চুপ থাকাকে বেছে নিয়েছিলাম। আমি সবসময়ই কম কথা বলা একজন নারী।”
কারিশমা জানিয়েছেন, পরিবার ও কাছের মানুষ তাঁকে মানসিক শক্তি জুগিয়েছে। মা-বাবা, বোন, দাদিজি, দুই পিসি ও বন্ধুরা না থাকলে তিনি ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারতেন না। যদিও বাগদান ভাঙার সঠিক কারণ কখনো প্রকাশ্যে বলা হয়নি। গুঞ্জন ছিল, কারিশমার মা ববিতা কাপুর ও বচ্চন পরিবারের মতবিরোধই বিচ্ছেদের মূল কারণ।
একই বছর শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে বিয়ে করেন কারিশমা। প্রায় এক দশক সংসার টিকলেও শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদ হয়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। চলতি বছরের ১২ জুন মারা যান সঞ্জয়। এরপর থেকে কারিশমা আর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেননি।
কারিশমার এই অধ্যায় বলিউডে আজও আলোচিত এবং ব্যক্তিগত যন্ত্রণা কাটিয়ে তিনি আবারও অভিনয়জগতে ফিরেছেন।