উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় চংজিন বন্দরের একটি জাহাজ কারখানায় ৫,০০০ টন ওজনের একটি নতুন যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধনের সময় গুরুতর দুর্ঘটনা ঘটেছে। দেশটির নেতা কিম জং উন এই ঘটনাকে “অপরাধমূলক কাজ” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্বোধনের সময় জাহাজটির নিচের অংশ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যায়। কিম জং উন এটিকে জাতির মর্যাদা ও গর্বের প্রতি “গুরুতর আঘাত” বলে উল্লেখ করেছেন এবং জুনে অনুষ্ঠিতব্য পার্টি সভার আগেই জাহাজটি সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনার জন্য চরম অবহেলা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি দায়ী। যদিও হতাহতের কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, কিম জং উন দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির হুমকি দিয়েছেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, উত্তর কোরিয়া সাধারণত এ ধরনের অভ্যন্তরীণ দুর্ঘটনার খবর গোপন রাখলেও এবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে, যা দেশটির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।
চোয়ে হিয়ন-শ্রেণির এই যুদ্ধজাহাজটি উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনীর আধুনিকীকরণ উদ্যোগের অংশ হিসেবে নির্মিত। এটি ৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম বলে জানা গেছে এবং দেশটির সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথা ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুর্ঘটনা কিম জং উনের সামরিক আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা এবং এটি উত্তর কোরিয়ার সামরিক সক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন তুলতে পারে।
এই ঘটনা এমন এক সময় ঘটল, যখন উত্তর কোরিয়া সামরিক শক্তি প্রদর্শনে ব্যস্ত, যার মধ্যে রয়েছে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও যুদ্ধজাহাজ প্রদর্শন।