বিশ্বজুড়ে রাজনীতির প্রভাব যেমন অগণন ক্ষেত্রে, তেমনি চলচ্চিত্র জগতও এর বাইরে নয়। ঢালিউড—বাংলাদেশের ঢাকাই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিও রাজনীতির ছায়ায় কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। জন্মলগ্ন থেকেই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। এর শিকার হয়ে বহু প্রতিভাবান তারকা ঝরে গেছেন এবং এখনো ঝরে যাচ্ছেন। অনেকের ক্যারিয়ার থেমে গেছে, কেউবা প্রাণও হারিয়েছেন।
আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো ঢালিউডের সেইসব তারকাদের কথা, যারা ইন্ডাস্ট্রির নোংরা রাজনীতির বলি হয়েছেন:
সালমান শাহ
নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয়তার শিখরে ওঠেন সালমান শাহ। তার উত্থান অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। নানান ষড়যন্ত্রের মুখে পড়লেও লড়াই করে গেছেন। তার মৃত্যু ঘিরে আজও রহস্য রয়ে গেছে—আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা, নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শাকিব খান
বর্তমান সময়ের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানও জানিয়েছেন, ক্যারিয়ারের শুরুতে নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। পরে তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে যে, তিনি অন্যদের কাজ পাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান।
গুলশান আরা চম্পা
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী চম্পা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, চলচ্চিত্রের রাজনীতির কারণে তিনি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।
সোহেল চৌধুরী
চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশের পর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জীবন হারিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।
শাকিল খান
সালমান শাহর পর সম্ভাবনাময় নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হলেও, গুঞ্জন ও রাজনীতির কারণে ধীরে ধীরে চলচ্চিত্র থেকে হারিয়ে যান।
সাদিকা পারভীন পপি
গণমাধ্যমে তিনি জানান, একজন শিল্পী নেতার (অনেকে মনে করেন ইঙ্গিত শাকিব খানের দিকে) রাজনীতির কারণে তিনি কাজ করতে পারেননি।
আমিন খান
নতুন মুখের সন্ধানে প্রকল্প থেকে আসা আমিন খান কাজের সুযোগের অভাবে দীর্ঘ সময় হতাশায় ভুগেছেন।
দিলারা হানিফ পূর্ণিমা
পূর্ণিমা জানান, ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতির কারণে অনেক প্রতিভাবান শিল্পীর মতো তিনিও কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
আঁচল আঁখি
সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ার জন্য তিনি চলচ্চিত্রের রাজনীতিকে দায়ী করেন।
জিনাত সানু স্বাগতা
নাটক থেকে সিনেমায় আসার চেষ্টা করেও ইন্ডাস্ট্রির রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মুখে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে।
তমা মির্জা
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই অভিনেত্রী বলেন, নতুনদের ঠেকাতে ইন্ডাস্ট্রির ভেতর পরিকল্পিত বাধা তৈরি হয়।
পূজা চেরী
তিনি অভিযোগ করেছেন, ভালো কাজ করেও চলচ্চিত্রে স্বীকৃতি পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে।
প্রার্থনা ফারদিন দীঘি
তিনি দাবি করেছেন, ইন্ডাস্ট্রির নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর কারণে তিন বছর ধরে কাজ পাচ্ছেন না এবং অনেকেই অত্যন্ত নিষ্ঠুর আচরণ করে থাকেন।
এছাড়াও, ঢালিউডের আরও অনেক নতুন ও সম্ভাবনাময় মুখ ফিল্ম পলিটিক্সের শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিভিন্ন সময়ে।