সম্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মামুন-অর-রশিদকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া তথা অপসারণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ‘ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)’।
সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান সোমবার (১৯ মে) এক বিবৃতিতে বলেন, ইউট্যাবের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী ও অধ্যাপক ড. মামুন-অর-রশিদ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাক্রমে প্রো-ভিসি এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দক্ষতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তারও আগে তারা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সুনামের সঙ্গে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে চাকুরি করেছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট অভিযোগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা টানা আন্দোলন শুরু করে। একপর্যায়ে গত ১৩ মে রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মামুন-অর-রশিদকেও পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, সরকার চাইলে যেকোনো প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু ভিসির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কারণে অন্যদেরও সরিয়ে দেওয়া বেআইনী এবং অন্যায় ও অযৌক্তিক বলেই মনে হয়। আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মামুন-অর-রশিদকে পদ সরিয়ে দেওয়ায় মর্মাহত এবং উদ্বিগ্ন। এতে তাদের প্রতি জনমনে বিরুপ ধারণা জন্মাবে। শুধু তা-ই নয়, দেশের শিক্ষক সমাজের প্রতি মানুষের নেতিবাচক মনোভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সুতরাং আমরা ইউট্যাবের পক্ষে সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো যে, অবিলম্বে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মামুন-অর-রশিদকে তাদের পূর্বের পদে ফেরত দেওয়া হোক।