অভিনেত্রী ঊর্বশী রাওতেলার এক অদ্ভুত দাবিতে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। সম্প্রতি তিনি দাবি করেন, ভারতের উত্তরাখণ্ডে নাকি তাঁর নামে একটি মন্দির রয়েছে, যেখানে ভক্তরা প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করেন, তাঁর ছবির সামনে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করেন এবং নিজেদের ইচ্ছার কথা জানান।
এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। উত্তর ভারতের পুরোহিত সমাজ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। অনেকের মতে, ঊর্বশীর এই বক্তব্য ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। উত্তরাখণ্ডের দুটি পুরোহিত সংগঠন ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও জানিয়েছে।
ইউটিউবার সিদ্ধার্থ কাননকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঊর্বশী বলেন, “উত্তরাখণ্ডে বদ্রীনাথ মন্দিরের পাশেই আমার নামে একটি মন্দির রয়েছে। দক্ষিণ ভারতেও আমি চাই, এমন একটি মন্দির নির্মিত হোক।” তিনি আরও দাবি করেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও নাকি তাঁর ছবিতে পূজা দেন।
এই বিস্ময়কর দাবির পর বদ্রীনাথ মন্দিরের প্রাক্তন পুরোহিত ভুবনচন্দ্র উনিয়াল স্পষ্ট করে জানান, বদ্রীনাথের পাশে ‘ঊর্বশী মন্দির’ নামে পরিচিত যে স্থানটি রয়েছে, তা দেবী সতীর ১০৮টি শক্তিপীঠের একটি। এটি কোনোভাবেই অভিনেত্রী ঊর্বশী রাওতেলার নামে নয়।
উত্তরাখণ্ড চারধাম তীর্থ পুরোহিত মহাপঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক ব্রিজেশ সতী বলেন, “এমন মন্তব্য শুধুই সস্তা প্রচারের চেষ্টা। একজন উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা হয়ে তাঁর আরও বেশি সচেতন থাকা উচিত ছিল। তারকা হলেও কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অধিকার নেই।”
সমালোচনার মুখে ঊর্বশীর টিম একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “ঊর্বশী শুধু বলেছিলেন উত্তরাখণ্ডে তাঁর নামে একটি মন্দির রয়েছে, তিনি কোথাও ‘ঊর্বশী রাওতেলা মন্দির’ বলেননি। অনেকেই তাঁর বক্তব্য ভুল বুঝে সমালোচনা করছেন। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর মন্তব্য বিকৃত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”