‘অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি’ বিবেচনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেন রেজিস্ট্রার ড. মো. জুলফিকার রহমান।
এর আগে শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইউআইইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ১০ জন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কর্মকর্তা একযোগে পদত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে তাদের পদত্যাগপত্রের ছবিসহ একটি পোস্ট প্রকাশ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপাচার্য, বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান এবং ডিনসহ ১১ জন কর্মকর্তার পদত্যাগের ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। সে কারণে সোমবার (২৮ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। নতুন উপাচার্য ও বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এদিকে, রোববার দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে জানান, তারা কেবল উপাচার্য এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। অন্য কর্মকর্তাদের পদত্যাগের প্রয়োজন তারা মনে করেননি এবং সেই শিক্ষকদের পুনরায় দায়িত্বে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত পদত্যাগপত্র অনুযায়ী, উপাচার্য তার পদত্যাগের কারণ হিসেবে শিক্ষার্থীদের ‘অসৌজন্যমূলক ও অসম্মানজনক আচরণ’-কে উল্লেখ করেছেন। তার পদত্যাগের পর প্রশাসনের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারাও একযোগে পদত্যাগ করেন, যারা শিক্ষার্থীদের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেছেন।