গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার নেতারা। সোমবার (২০ মে) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানায়, যদি ইসরায়েল সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখে এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আল-জাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েল।
বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের নতুন সামরিক আক্রমণ এবং ত্রাণ সহায়তা সীমিত করার পদক্ষেপ ‘অগ্রহণযোগ্য’। তিন দেশের নেতারা অবিলম্বে এই হামলা বন্ধ করতে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে আহ্বান জানান।
তারা ইসরায়েলকে জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতায় কাজ করে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ পুনরায় চালুর অনুরোধ জানান। রবিবার ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সীমিত পরিসরে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়াকে ‘সম্পূর্ণ অপর্যাপ্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, সোমবার ১ মার্চের পর প্রথমবারের মতো গাজায় পাঁচটি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। ইসরায়েল ওই দিন থেকে সহায়তা বন্ধ করে দেয়, যাতে হামাস জিম্মি মুক্তিতে চাপের মুখে পড়ে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তাই নিজ সরকারের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সতর্ক করেছেন যে, গাজা চরম দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
এই পটভূমিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার ‘মৌলিক’ সহায়তা পুনরায় চালুর নির্দেশ দেন, যদিও বিষয়টি তার ডানপন্থী রাজনৈতিক মিত্রদের মধ্যে সমালোচনার মুখে পড়ে।
তবে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু বলেন, “লন্ডন, প্যারিস ও অটোয়া ৭ অক্টোবরের গণহত্যামূলক হামলার জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে মূলত হামলাকারীদের পুরস্কৃত করছে এবং ভবিষ্যতের জন্য আরও নৃশংসতা আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।”