আফ্রিকার দেশ সুদানে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চলমান গৃহযুদ্ধে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (RSF) রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে, আগামী ৬ জুন থেকে সুদানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি সীমিত করা হবে এবং দেশটির আর্থিক ঋণ গ্রহণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, “সুদানকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং কেমিক্যাল ওয়েপনস কনভেনশন (CWC)-এর আওতায় তাদের দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।”
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গত বছর দু’বার সুদান সরকার ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহার করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
দুই বছর ধরে চলমান এই গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত দেড় লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এর আগেও, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, যুক্তরাষ্ট্র সুদান সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং RSF প্রধান হেমেদতির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
এই নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভূমিকা নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সুদান অভিযোগ করেছে, আমিরাত RSF-কে অস্ত্র সরবরাহ করেছে, যদিও আমিরাত এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আগের নিষেধাজ্ঞার কারণে সুদানের ওপর নতুন এই পদক্ষেপের প্রভাব সীমিত হতে পারে।