বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। গত বুধবার (১৪ মে) সিলেটে সংগঠনটির চার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন একই সংগঠনের এক নারী নেত্রী। এবার চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির তিন নেতার বিরুদ্ধে ওঠা গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংগঠনটি সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় সংগঠনের আহ্বায়ক আরিফ মঈনুদ্দিন ও সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে তিন নেতাকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন— যুগ্ম সদস্য সচিব আবুল বাছির নাঈম, সংগঠক শাহরিয়ার সিকদার এবং মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজা।
আদেশে বলা হয়, বন্দর থানায় এক ব্যবসায়ীকে হেনস্তা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আবুল বাছির নাঈমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে, শাহরিয়ার সিকদার সম্প্রতি চ্যানেল টোয়েন্টিফোর-এ প্রচারিত একটি চাঁদাবাজি বিষয়ক সংবাদে উঠে আসেন এবং পরে ডবলমুরিং থানায় আটক হন।
এর আগে, ফাতেমা খানম লিজার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের অভিযোগ উঠে, যার ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ঘটনার পরেই তাকে মুখপাত্র পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংগঠনের নীতিমালার পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা নীতি’ অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এই বহিষ্কারের ঘটনাগুলো সংগঠনের ভাবমূর্তি ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।