Ridge Bangla

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে তুরস্কের ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক অবস্থান

উক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই উভয় দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান একাধিকবার মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে শান্তি আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

তুর্কি সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা “৩৬০ ডিগ্রি” পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছেন, যা বাস্তবভিত্তিক এবং ভারসাম্যপূর্ণ কৌশলের অংশ। এই নীতির মাধ্যমে তুরস্ক এমন এক কূটনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে, যারা সবার সঙ্গে কথা বলতে পারে কিন্তু কোনো পক্ষের অধীন নয়।

এরদোয়ান মনে করেন, এই শান্তি প্রচেষ্টার মাধ্যমে তুরস্ক আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও শক্তিশালী অবস্থান অর্জন করতে পারবে এবং দেশের অভ্যন্তরেও তার ‘দৃঢ় নেতার’ ভাবমূর্তি আরও সুসংহত হবে।

২০২২ সালে তুরস্কই ছিল রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরাসরি আলোচনার সর্বশেষ বিশ্বস্ত স্থান। সে বছর কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি (Black Sea Grain Initiative) সফলভাবে মধ্যস্থতা করে তুরস্ক, যা ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির জন্য একটি নিরাপদ করিডোর নিশ্চিত করে।

ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালেও তুরস্ক একাধিকবার বন্দী বিনিময়ের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে। দেশটিতে এখনো রাশিয়ান নাগরিকরা অর্থ স্থানান্তর এবং ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন।

ন্যাটোর দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনী হিসেবে তুরস্ক সম্ভাব্য শান্তিরক্ষী বাহিনীর অংশ হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। একইসঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন পুনর্গঠনে তুর্কি কোম্পানিগুলোর সক্রিয় আগ্রহও দৃশ্যমান।

সবশেষ, ইস্তাম্বুলেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, তুরস্কের এই মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা ভবিষ্যতে কতটা সাফল্য বয়ে আনে।

আরো পড়ুন