ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার পরিবর্তিত হয়েছে। নির্বাচনের আগেই তিনি বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ শেষ করবেন।
কিন্তু গত সপ্তাহে তার বক্তব্যে দেখা যায় ভিন্ন সুর। তিনি জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা ছাড়া এই সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। সোমবার পুতিনের সঙ্গে দুই ঘণ্টাব্যাপী ফোনালাপের পর ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতি ও শান্তিচুক্তির শর্ত রাশিয়া ও ইউক্রেনকেই ঠিক করতে হবে, যেখানে পোপ ফ্রান্সিস মধ্যস্থতা করতে পারেন।
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেন, উভয় পক্ষ “তাৎক্ষণিকভাবে” আলোচনা শুরু করবে। তবে পুতিন আলোচনায় কেবল একটি “সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ চুক্তি”-র কথা বলেন, যা নির্দেশ করে যে দুই পক্ষ এখনও আলাদা অবস্থানে রয়েছে।
শান্তি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ট্রাম্প রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা হ্রাস এবং বাণিজ্য সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেও, তিনি কোনো কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা দেননি।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার বাইরে গেলে ইউক্রেনের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে, কারণ সামরিক দিক দিয়ে রাশিয়া অনেক বেশি শক্তিশালী।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি এ নিয়ে প্রকাশ্যে উদ্বেগ জানিয়েছেন। তিনি চান, যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা রাখুক।
যদিও এখনও কোনো নির্ভরযোগ্য শান্তিচুক্তি দৃশ্যমান নয়, তবে আলোচনার টেবিলে উভয় পক্ষের উপস্থিতিকে তিন বছরের এই সংঘাতের মধ্যে এক ধরনের অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন অনেকে।