Ridge Bangla

মধ্যপ্রাচ্য সফরে ট্রাম্প, নেতানিয়াহু এবারও শুধুই দর্শক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। সফরসূচিতে কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও রয়েছে, তবে আলোচিতভাবে বাদ পড়েছে ইসরায়েলের নাম। হোয়াইট হাউস ট্রাম্পের এই সফরকে ‘মধ্যপ্রাচ্যে ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন’ হিসেবে আখ্যা দিলেও ইসরায়েলি নেতৃত্বের মধ্যে এতে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

এর আগে ইরানের সঙ্গে আলোচনার ঘোষণা, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মতো পদক্ষেপে একাধিকবার ইসরায়েলকে অপ্রস্তুত করেছেন ট্রাম্প। এবারও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে।

ইসরায়েলে থামার পরিকল্পনা নেই

সফরের সময় ইসরায়েলে যাত্রা করার সম্ভাবনা নিয়ে যখন প্রশ্ন ওঠে, তখনই ট্রাম্প জানিয়ে দেন, “এই সফরে ইসরায়েলে থামা হবে না, আমরা সেটা অন্য কোনো সময় করব।” বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কোনো তাৎপর্যপূর্ণ অর্জন ছাড়া ট্রাম্প ইসরায়েল সফরে আগ্রহী নন—চুক্তি হোক তা গাজা যুদ্ধবিরতির, বা মানবিক সহায়তার পরিকল্পনা।

ইসরায়েল যদিও আশা করেছিল, জিম্মি এডান আলেক্সান্ডারের মুক্তি বা গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি কোনো বড় অগ্রগতি বয়ে আনতে পারে, কিন্তু এ মুহূর্তে তা দূরঅতিক্রম্যই মনে করছে ওয়াশিংটন।

নেতানিয়াহুর সীমিত প্রভাব

নেতানিয়াহু মার্কিন রাজনীতিতে একসময় প্রভাবশালী হলেও এখন আর সেই অবস্থান বজায় নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। সাবেক কূটনীতিক অ্যালন পিনকাস বলেন, “নেতানিয়াহুর হাতে ট্রাম্পকে দেওয়ার মতো কিছু নেই। বিপরীতে সৌদি আরব, কাতার ও আমিরাত যুক্তরাষ্ট্রে ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এবং বড় অঙ্কের অস্ত্র কেনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, যা ট্রাম্প তার রাজনৈতিক অর্জন হিসেবে তুলে ধরতে পারেন।”

হোয়াইট হাউসের পাশ কাটিয়ে চুক্তি

ট্রাম্প প্রশাসন হামাসের সঙ্গে একটি সীমিত চুক্তিতে পৌঁছে মার্কিন জিম্মি মুক্ত করেছে, যেখানে ইসরায়েল ছিল একেবারে পাশে দাঁড়ানো পর্যবেক্ষক। পাশাপাশি, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় এগিয়ে চলেছেন এবং সৌদি আরবকে বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা দেওয়ার শর্তে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টিও তুলে ধরেননি।

‘বুলডোজারের মতো’ ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যান শাপিরো বলেন, “ট্রাম্প এখন যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও জিম্মি মুক্তিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন এবং তার কৌশল বুলডোজারের মতো। নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তহীনতা ও রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষা ওয়াশিংটনের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “ট্রাম্প এখন নেতানিয়াহুতে স্পষ্টতই হতাশ, যেমনটা অতীতে অন্যান্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রেও হয়েছিল।”

আরো পড়ুন