টানা সাড়ে ১৫ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার সামনে আনছে প্রথম জাতীয় বাজেট, যা হবে এক বড় পরীক্ষা। আগামীকাল (সোমবার) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করবেন—গত বছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। সংসদ না থাকায় এবার বাজেট ঘোষণা হবে ভিন্ন আঙ্গিকে—বিটিভি, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টিভিতে একযোগে সম্প্রচার করা হবে তার বাজেট ভাষণ।
এর আগে ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এমনভাবে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল।
এই বাজেটে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে:
-
রাজস্ব আয় বাড়ানো ও ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ
-
এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি
-
আইএমএফ-এর শর্ত পূরণ
বাজেটের সম্ভাব্য উল্লেখযোগ্য দিকগুলো:
-
শুল্ক ও কর কাঠামোয় বড় পরিবর্তন
– প্রায় ৬২২টি পণ্যে সম্পূরক শুল্ক হ্রাস
– ১০০টি পণ্যে আমদানি শুল্ক কমানো
– ক্যানসার চিকিৎসা সরঞ্জাম, পরিবেশবান্ধব কাঁচামাল, হিমাগার যন্ত্রপাতি, ওষুধ, নিউজপ্রিন্ট—এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প উপকরণে শুল্ক ছাড়
– মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতা টিকিয়ে রাখতে ১০০টি পণ্যে শূন্য শুল্কের প্রস্তাব
– ওষুধ শিল্পে সহায়তায় অতিরিক্ত ৭৯টি কাঁচামালে শুল্ক ছাড় -
গণপরিবহন ও প্রযুক্তি খাতে সহায়তা
– ১৬-৪০ আসনের বাসের আমদানি শুল্ক হ্রাস
– মাইক্রোবাসে সম্পূরক শুল্ক কমানো
– সফটওয়্যার খাতে বিশেষ সহায়তা
– চিনির শুল্ক কমানো
– খেলনা ও হিমাগার কাঁচামালে ছাড় -
বিলাসপণ্য ও হেলিকপ্টারে কর বৃদ্ধি
– বিলাসপণ্যে শুল্ক বাড়ানো
– হেলিকপ্টার আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব -
উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের কর হার
– ৩০% করহার পুনর্বহালের চিন্তা -
এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট ছাড়
এই বাজেট অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বার্তা বহন করবে, বিশেষ করে নতুন নির্বাচনের আগমুহূর্তে।
