টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় অনুমোদনহীন চারটি ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়ার কারণে প্রায় ১৫ একর জমির ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বহুরিয়া ও পাথালিয়াপাড়া এলাকার কৃষকেরা।
ভুক্তভোগীরা জানান, বহুরিয়া ও গোড়াই ইউনিয়নের তিন ফসলি জমির পাশে আরবিসি, বাটা, এমএসবি, এইচইউবি, বিএন্ডবি, রান ও সান নামের সাতটি ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে, যেগুলোর কোনো বৈধ অনুমোদন নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর একাধিকবার জরিমানা ও চিমনি ভেঙে দিলেও ভাটা মালিকরা অস্থায়ী চিমনি ব্যবহার করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষক শিরিন সুলতানা, জুয়েল মিয়া, রাজিয়া, খোরশেদ সিকদার ও তাসলিমা বেগম জানান, ইটভাটাগুলোর আগুন নেভানোর সময় বের হওয়া বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়ায় তাদের ধান পুরোপুরি পুড়ে গেছে। ফলে তারা চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
জানা যায়, পাঁচটি কৃষি প্রজেক্টের অধীনে অন্তত শতাধিক কৃষকের ক্ষেতের ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু কৃষক সামান্য পরিমাণে ক্ষতিপূরণ পেলেও তা ক্ষতির তুলনায় খুবই কম। বাটা ইটভাটার মালিক আকবর জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এমএসবি ইটভাটার মালিক ফরিদ জানান, ১২ একর জমির জন্য তিনি শতাংশপ্রতি ৫০০ টাকা এবং কিছুক্ষেত্রে ২০০ টাকা হারে ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন।
বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন জানান, কৃষি বিভাগের অনুমতি ছাড়াই এসব ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। বিষাক্ত ধোঁয়ায় ধান পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব জমিতে চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হবে।