চ্যানেল আইয়ের জনপ্রিয় সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সেরাকণ্ঠ ২০২৩’-এর চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৩ সালে, যেখানে ১৩ জন প্রতিযোগী কণ্ঠে সুর তুলে দর্শক-শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেছিলেন। তবে ফলাফল ঘোষণায় সময় লাগায় কৌতূহল ছিল তুঙ্গে। অবশেষে ১৮ মে ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’-এর মঞ্চে উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
এবারের আসরে চারজন প্রতিযোগীকে যৌথভাবে ‘সেরাদের সেরা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বিজয়ীরা হলেন—টুশি, জারিন, শিতাব ও অর্চি। এদের মধ্যে আলাদাভাবে রানারআপ বা তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করা হয়নি।
বিজয়ী প্রতিযোগীদের প্রতিক্রিয়া ছিল আবেগঘন। টুশি বলেন, “রুনা লায়লা ম্যামের মুখে নিজের নাম শুনে যেন স্বপ্ন দেখছিলাম। মা-বাবার অবদানেই আজকের এই অবস্থান। আমি সিনেমায় প্লে-ব্যাক করতে চাই, বিশেষ করে শাকিব খানের সিনেমায়।”
জারিন জানান, “রুনা ম্যামের মতো কিংবদন্তির মুখে নিজের নাম শোনা ছিল সৌভাগ্যের বিষয়। আমি মৌলিক গান দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।”
শিতাব বলেন, “বাংলা গানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছে দিতে চাই। নিজের মৌলিক গান দিয়েই বিশ্বে পরিচিত হতে চাই।”
অর্চির ভাষায়, “আমি নিজের কম্পোজিশনে গান গাইতে চাই। আমার মা অনেক ত্যাগ স্বীকার করে আমাকে আজকের জায়গায় এনেছেন।”
নারায়ণগঞ্জের টুশি, ময়মনসিংহের জারিন, এবং অন্যান্য বিজয়ীরা এই মুহূর্তে নতুন প্রজন্মের সংগীতজগতের প্রতিভাবান প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন। ‘সেরাকণ্ঠ ২০২৩’ প্রতিযোগিতা বাংলা সংগীতের ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলার এক প্রতিশ্রুতিশীল ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।