মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিনতলা একটি স্কুল ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঈদের দিন শনিবার (৭ জুন) দুপুরে বাচামারা ইউনিয়নের ভারাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্পূর্ণরূপে যমুনায় তলিয়ে যায়। বিদ্যালয়টির শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে।
গত এক সপ্তাহের টানা বর্ষণ ও নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বাচামারা, বাঘুটিয়া ও চরকাটারি ইউনিয়নে নদীভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এতে শত শত ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান জানান, “ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ১৪ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হচ্ছে। পাশাপাশি স্থায়ী প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলমান।”
দৌলতপুর উপজেলার চরকালিয়াপুর, বাঘুটিয়া, চরকাটারি, রামচন্দ্রপুর, পারুরিয়া বাজারসহ অন্তত ২৮টি এলাকা বর্তমানে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাস থাকলেও জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিয়ান নুরেন বলেন, “বিদ্যালয় ভবনটির ভাঙনের খবর পেয়ে নিলামের সম্ভাবনা পর্যালোচনা করা হয়, কিন্তু ঝুঁকি এতটাই তীব্র ছিল যে কোনো উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ হয়নি।” ঈদের দিন দুপুরেই স্কুলটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রতিবছরই তারা ভাঙনের কবলে পড়ছেন, কিন্তু কার্যকর কোনো দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। এবার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হারিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। দ্রুত স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।