Ridge Bangla

পোর্ট সুদানে টানা তৃতীয় দিন ড্রোন হামলা

সুদানের পোর্ট সুদানে টানা তৃতীয় দিনের মতো ড্রোন হামলা হয়েছে। এতে দেশটির বেসামরিক বিমানবন্দর এবং সেনা ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু হয়। এই হামলায় সুদানি সেনাবাহিনীর অনুগত সরকারের অন্যতম শক্তিশালী কেন্দ্রস্থল সরাসরি আক্রমণের শিকার হয়।

সোমবার দেশের প্রধান জ্বালানি গুদামে হামলার পর শহরের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড ছড়িয়ে পড়ে। পোর্ট সুদান এতদিন পর্যন্ত গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচিত ছিল।

এএফপির একজন সংবাদদাতা জানান, মঙ্গলবার ভোরে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠে—একটি বন্দরের দিক থেকে এবং আরেকটি জ্বালানি গুদামের দিক থেকে।

একজন বিমানবন্দর কর্মকর্তা জানান, ড্রোন হামলায় পোর্ট সুদানের বেসামরিক বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর দুই দিন আগেই একটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রথম ড্রোন হামলা হয়। সেনাবাহিনী এই হামলার জন্য আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ (Rapid Support Forces) কে দায়ী করছে।

এই ঘটনার পর পোর্ট সুদানের সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া আরেকটি ড্রোন শহরের কেন্দ্রস্থলে সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায়, যার ফলে কাছাকাছি একটি হোটেলেও আঘাত হানে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

উল্লেখযোগ্য যে, এসব হামলার স্থাপনাগুলো সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের বাসভবনের নিকটবর্তী। তিনি ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আরএসএফ প্রধান ও তার সাবেক ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগালো’র সঙ্গে গৃহযুদ্ধে লিপ্ত।

তৃতীয় একটি ড্রোন শহরের জনবহুল এলাকায় জাতিসংঘ ও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থার ব্যবহৃত জ্বালানি গুদাম লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এ এলাকাতেই খার্তুম থেকে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষ অবস্থান করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানী খার্তুম হারানোর পর আরএসএফ ড্রোন হামলায় অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে, যা তাদের কৌশলগত সক্ষমতা ও সেনাবাহিনীর সরবরাহ ব্যবস্থাকে দুর্বল করছে। সেনাবাহিনী দাবি করেছে, আরএসএফ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাওয়া উন্নত ড্রোন ব্যবহার করছে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) সোমবার সুদানের দায়ের করা মামলা খারিজ করে দেয়। মামলায় আমিরাতের বিরুদ্ধে আরএসএফকে সহায়তার মাধ্যমে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। মঙ্গলবার সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা আদালতের রায় “সম্মান” করছে। আদালত জানিয়েছে, আমিরাত ২০০৫ সালে জাতিসংঘের গণহত্যা সনদে একটি “সংরক্ষণ” ঘোষণা করেছিল, যা আইসিজের এখতিয়ারকে সীমিত করে।

আরো পড়ুন