ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী বন্দর আব্বাসের কাছে শহীদ রাজাই বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি গভীর শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “ইরানের শহীদ রাজাই বন্দরে বিধ্বংসী বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।”
গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত শহীদ রাজাই বন্দরে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পরপরই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং তা নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল বাহিনীকে প্রচণ্ড চেষ্টা চালাতে হয়। তবে দমকা হাওয়া এবং কনটেইনারে থাকা দাহ্য রাসায়নিকের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ বেগ পেতে হয়। মাঝে মাঝেই নতুন করে আগুনের সূত্রপাত ঘটে এবং কিছু কনটেইনার থেকে বিষাক্ত গ্যাসও নির্গত হতে থাকে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
হরমোজগান প্রদেশের গভর্নর জানিয়েছেন, বড় ধরনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও পুরো এলাকা থেকে সব কনটেইনার সরাতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসকান্দার মোমেনি জানান, শহীদ রাজাই এলাকায় জাতীয় পর্যায়ে অগ্নি নির্বাপণের কাজ শেষ হয়েছে এবং এখন দায়িত্ব স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইরানের সংকট ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন জাফারি জানিয়েছেন, কনটেইনারে রাসায়নিকের দুর্বল সংরক্ষণ ব্যবস্থার কারণেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও জানান, পূর্বেও কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
শহীদ রাজাই বন্দর ইরানের সবচেয়ে বড় এবং আধুনিক কনটেইনার বন্দর, যা বন্দর আব্বাস শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং কৌশলগত হরমুজ প্রণালির উত্তরে অবস্থিত। উল্লেখ্য, বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ তেল পরিবহন এই প্রণালির মধ্য দিয়েই সম্পন্ন হয়।
দুর্ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর বড় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও কিছু কনটেইনার থেকে এখনো বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হচ্ছে, ফলে এলাকা পুরোপুরি নিরাপদ হয়নি।