সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অভিনীত নতুন ছবি ‘দুর্গাপুর জংশন’, যেখানে তিনি এক অনুসন্ধানী সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই ছবির প্রেক্ষাপটে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকতা ও সিনেমা প্রদর্শনের বর্তমান চিত্র নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ও হতাশার কথা জানিয়েছেন স্বস্তিকা। একইসঙ্গে, এক ফেসবুক পোস্টে নিজের ছবির প্রিমিয়ারে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে স্বস্তিকা জানান, “এখন থেকে আমি আর কোনো সিনেমার প্রিমিয়ারে যাব না। নিজের ছবিরও না, অন্যের ছবিরও না। এমনিতেই খুব কম যেতাম।” তিনি ব্যাখ্যা করেন, দর্শকরা তারকাদের উপস্থিতি দেখে সিনেমা দেখতে যান না, বরং ছবির ট্রেলার, পোস্টার ও কলাকুশলীদের কাজ দেখে সিদ্ধান্ত নেন।
স্বস্তিকা আরও বলেন, “প্রিমিয়ারে অধিকাংশ সময় কলাকুশলীদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না, অথচ তারাই দিনের পর দিন কষ্ট করে ছবির পেছনে শ্রম দেন। সেইসব সহকর্মীদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া জরুরি, যারা শ্যুটিংয়ে আমাদের খেয়াল রাখেন, গরমে গ্লুকোজ় এনে দেন। বাবা ও সন্ধ্যা রায়ের ছবি ‘টগরি’র প্রদর্শনে সব কলাকুশলীকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এখন সবটাই শুধুই দেখনদারি।”
বর্তমানে প্রিমিয়ারে ইউটিউবার ও ভ্লগারদের অতিরিক্ত ভিড় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে স্বস্তিকা লেখেন, “সবাই এখন ফোন হাতে ভিডিও তুলছে। বোঝা দায় কে সংবাদমাধ্যম, কে ইনফ্লুয়েন্সার। কেন আমি তাদের বাইট দেব? কেউ একজন আমার ছবি তুলতে গিয়ে আমাকেই ধাক্কা মেরে ফেলে দিল! এত ধাক্কাধাক্কি, ঠেলাঠেলি সহ্য হয় না। আমি দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরতে অক্ষম, আর সেটা করতেও চাই না। সিনেমা দেখতে গিয়ে যদি দেহরক্ষী নিয়ে যেতে হয়, তাহলে না যাওয়াই ভালো।”
সাক্ষাৎকারে তিনি বর্তমান সাংবাদিকতার মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, এখন সাংবাদিকরা সত্য যাচাই না করেই শুধুমাত্র ব্রেকিং নিউজের পেছনে ছুটছে। তিনি বলেন, “কে আগে খবর দেবে, সেই প্রতিযোগিতায় অনেক সময় ভুল তথ্য ভাইরাল হয়ে যায়। পজিটিভ খবরের চেয়ে নেতিবাচক খবর দ্রুত ভাইরাল হয়। কেউ থেমে যাচাই করে না, এটাই সবচেয়ে দুঃখজনক।” স্বস্তিকার এই মন্তব্য ও সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে।