ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়া তাদের পূর্ণমাত্রিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হামলার লক্ষ্য ছিল একাধিক অঞ্চল, যার মধ্যে রাজধানী কিয়েভও রয়েছে। এতে কিয়েভের শহরতলিতে এক নারী নিহত হয়েছেন এবং অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ।
রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা পর্যন্ত রাশিয়া ইউক্রেনের দিকে ২৭৩টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে বলে জানায় ইউক্রেনের বিমান বাহিনী। এই ড্রোনগুলো মূলত কিয়েভ অঞ্চল, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক এবং দোনেৎস্ক এলাকায় ছোড়া হয়।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রেকর্ড সংখ্যক এই ড্রোনগুলোর বেশিরভাগই ছিল ইরানি তৈরি ‘শাহেদ’ মডেলের। এর মধ্যে ৮৮টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে এবং আরও ১২৮টি লক্ষ্যচ্যুত হয়ে পড়ে যায়, যেগুলো কোনো ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়নি।
এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন সোমবার (২০ মে) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একটি নির্ধারিত ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
গত শুক্রবার তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে ২০২২ সালের পর প্রথমবারের মতো সরাসরি বৈঠক হয়। যদিও আলোচনায় বড় কোনো অগ্রগতি হয়নি, তবে উভয় পক্ষ একটি বন্দি বিনিময়ের চুক্তিতে পৌঁছায়।
এর আগে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা হয়েছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি, রাশিয়ার পূর্ণমাত্রিক আগ্রাসনের তিন বছর পূর্তিতে, যখন ২৬৭টি ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেন, শনিবার রাতের এই হামলা প্রমাণ করে যে রাশিয়ার যুদ্ধ থামানোর কোনো সদিচ্ছা নেই, যদিও আন্তর্জাতিক মহল বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে।