চুল মানুষের সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ। তাই প্রতিটি ঋতুতেই চুলের বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে শীতকালে খুশকির সমস্যা বেড়ে যায়। এটি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়, তবে চুলে চুলকানি ও ঝরার অন্যতম কারণ। অতিরিক্ত তেল, ধুলোবালি, হরমোনের সমস্যা, বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার, কিংবা সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের কারণে খুশকি দেখা দিতে পারে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দামি প্রসাধনীর চেয়ে ঘরোয়া কিছু সহজ উপায় কার্যকর হতে পারে।
১. অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেল মাথার অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখে। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান মাথার ত্বকে চুলকানি কমায়।
২. নারকেল তেল: গরম নারকেল তেল দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করুন। চাইলে তেলের সঙ্গে লেবুর রস, জোজবা অয়েল বা রোজমেরি ওয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।
৩. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: সুষম খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি পান, ঘুম এবং ব্যায়াম চুল ও ত্বকের জন্য ভালো। প্রতিদিনের খাবারে ভিটামিন, মিনারেল ও প্রোটিন রাখুন।
৪. লেবুর রস: লেবুর রসের সাইট্রিক এসিড মাথার পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখে। নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
৫. চুল পরিষ্কার রাখা: নিয়মিত চুল ধুয়ে পরিষ্কার রাখুন। চিরুনি ভাগাভাগি করবেন না এবং অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
৬. টক দই: টক দই মাথায় লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্যাকটেরিয়া দূর করে ও চুল নরম করে।
৭. তেল ও কন্ডিশনার: সপ্তাহে ২-৩ দিন চুলে তেল লাগান এবং শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
৮. পর্যাপ্ত পানি পান: প্রতিদিন অন্তত ১০–১২ গ্লাস পানি পান করুন, যাতে শরীর ডিহাইড্রেট না হয়।
৯. তাপ থেকে চুল রক্ষা: চুল শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার না ব্যবহার করে তোয়ালে দিয়ে মুছে শুকাতে দিন। অতিরিক্ত তাপ খুশকি বাড়ায়।
১০. চুল ঢেকে রাখুন: বাইরে গেলে চুল ঢেকে রাখুন, যাতে ধুলোবালি মাথার ত্বকে না জমে।
যদি খুশকির পরিমাণ বেড়ে যায়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে সাধারণত নিয়মিত যত্নে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।