বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গে নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত ১ হাজার শয্যার একটি হাসপাতাল গাইবান্ধায় স্থাপনের দাবিতে সংহতি সভা করেছে ছাত্র-জনতা। শনিবার (১৯ এপ্রিল) গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত এই সভায় জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহম্মদ, সাংস্কৃতিক সংগঠক আলমগীর কবীর বাদল, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি অমিতাভ দাশ হিমুন, জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাহামদুন্নবী টিটুল, সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুজ্জামান, চিকিৎসক নেতা ডা. ফেরদৌস হোসেন মঞ্জু, ডা. শামসুজ্জোহা সাজু ও ডা. আসাদুজ্জামান সাজু, ব্যবসায়ী নেতা মকসুদার রহমান শাহান, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ সরকার এবং ছাত্রনেতা খন্দকার জাকারিয়া জিম ও ফেরদৌস ইসলাম রুম্মন।
ছাত্র-জনতার পক্ষে সংহতি সভা পরিচালনা করেন ফিহাদুর রহমান দিবস।
বক্তারা বলেন, “উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে অবহেলিত জেলা গাইবান্ধা। এখানকার মানুষ এখনও আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রংপুর বা ঢাকায় ছুটতে হয়। অথচ গাইবান্ধায় পর্যাপ্ত জমি রয়েছে, যা এই হাসপাতাল নির্মাণের জন্য উপযুক্ত।”
তাঁরা আরও বলেন, “চীন সরকারের প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল’ গাইবান্ধায় নির্মিত হলে বৃহত্তর উত্তরাঞ্চলের মানুষ চিকিৎসাসেবায় বিপুলভাবে উপকৃত হবেন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে বড় পরিসরে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে চীন সরকার। এ লক্ষ্যে শিগগিরই একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে।