Ridge Bangla

সারাদেশে ৬ দফা দাবিতে রাস্তায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা

কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণসহ ৬ দফা দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজপথে নেমেছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এতে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।

রাজশাহীতে শিক্ষার্থীরা দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী-ঢাকা রুটের রেলপথ অবরোধ করেন। একইভাবে পাবনার টার্মিনাল গোল চত্বরে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে ওঠে।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা মূল দাবিগুলো হলো:

১. হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল হওয়া জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের পদোন্নতি বাতিল ও ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তনসহ সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুতি।

২. ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে বয়সের সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ, মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু ও ইংরেজি মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা।

৩. উপ-সহকারী প্রকৌশলীর পদে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার নিশ্চিতকরণ এবং অন্যদের নিয়োগে আইনি পদক্ষেপ।

৪. কারিগরি সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে শুধু কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ ও শূন্যপদে শিক্ষক-ল্যাব সহকারী নিয়োগ।

৫. ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ গঠন এবং ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ স্থাপন।

৬. উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতে টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং নির্মাণাধীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য সিট নিশ্চিতকরণ।

অতিরিক্ত একটি দাবি হিসেবে শিক্ষার্থীরা জানান, ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টদের ১৬তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্রধান কার্যনির্বাহী সদস্য জুবায়ের পাটোয়ারী জানান, “আমরা চাই, পিয়ন হিসেবে যোগদান করে কেউ যেন শিক্ষক না হন। আমাদের এই আন্দোলনে অনেক শিক্ষকও সংহতি জানিয়েছেন।”

এছাড়া শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বেসরকারি পলিটেকনিকে পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা না থাকায় দক্ষতা অর্জন ব্যাহত হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ল্যাব সুবিধা নিশ্চিত না করতে পারলে বন্ধ ঘোষণা করতে হবে।

এছাড়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্টের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিকের মধ্যে বৈষম্য দূর করার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন