সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির মাধ্যমে সারাদেশে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। পাশাপাশি, ৫ হাজার সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রংপুরের মিঠাপুকুরে আয়োজিত ‘শিক্ষার মানোন্নয়ন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি। সভায় তিনি আরও জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্র্যাকেট তুলে দিয়ে আরও ১৩ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে ডিজি বলেন, “আপনারা যদি নিজ সন্তানদের নিজের স্কুলে না পড়ান, তাহলে অন্যরা কেন পড়াবেন? এটি শিক্ষকদের আত্মসমালোচনার জায়গা।”
শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ডিজি বলেন, “বিশ্বব্যাংকের জরিপে দেখা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ শিশু বাংলা পড়তে পারে না, ৩৪ শতাংশ শিশু যুক্তবর্ণ দিয়ে গঠিত শব্দ পড়তে পারে না। আমরা নিজেরাও জরিপ করেছি, ফলাফল প্রায় একই। এটা লজ্জাজনক।”
তিনি বলেন, “শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন কৌশল নিতে হবে। দুর্বল শিশুদের চিহ্নিত করে আলাদাভাবে কেয়ার করতে হবে। না পারলে, শিক্ষক হিসেবে দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।”
প্রশাসনিক সংস্কার নিয়ে ডিজি বলেন, “অনেকে ঢাকায় বদলির জন্য তদবির করতে যান, কিন্তু বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা কেউ বলেন না। কারণ হিসেবে বলেন, তাদের সন্তান প্রাইভেট স্কুলে পড়ে। এটাই আমাদের চিত্র।” সভায় রংপুর অঞ্চলের ২৭৫টি স্কুলের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।