Ridge Bangla

দেশে প্রথমবার অক্সফোর্ড-একিউএ মডেলে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কারিকুলাম চালু

দেশে প্রথমবারের মতো প্রাক-প্রাথমিক স্তরে চালু হলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অক্সফোর্ড-একিউএ (Oxford-AQA) শিক্ষা কারিকুলাম। দেশের দুই স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান—উইটন ও গাইডেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আনুষ্ঠানিকভাবে এই গবেষণাভিত্তিক পাঠ্যক্রম চালু করেছে। দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের জন্য নির্মিত এই কাঠামোবদ্ধ ও শিশুকেন্দ্রিক পাঠ্যক্রমটি যুক্তরাজ্যের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এই কারিকুলামে শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে সাতটি মূল ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে পাঠ্যক্রম সাজানো হয়েছে:

১) ব্যক্তিগত, সামাজিক ও মানসিক বিকাশ
২) ভাষা ও যোগাযোগ দক্ষতা
৩) শারীরিক দক্ষতা
৪) সাহিত্য ও পঠন অভ্যাস
৫) প্রাথমিক গণিত ও যৌক্তিক চিন্তা
৬) পরিবেশ ও বিশ্ব সম্পর্কে জ্ঞান
৭) শিল্প ও সৃজনশীলতা

এই কারিকুলামের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো শিশুকেন্দ্রিক অনুসন্ধানভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মূল্যায়ন কাঠামো। শিশুরা শেখে আনন্দের মধ্য দিয়ে, নিজের গতিতে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যা তাদের বিকাশে একটি দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করে।

অক্সফোর্ড-একিউএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্ড্রু কুম্ব জানান, “Personal, Social and Emotional Development (PSED)” মডিউলটি বাংলাদেশের শিশুদের জন্য সবচেয়ে কার্যকর হবে। এটি তাদের আত্মবিশ্বাস, সামাজিক যোগাযোগ এবং মানসিক স্থিতিশীলতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে এবং ভবিষ্যতের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করবে।

এ বিষয়ে উইটন ও গাইডেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান ড. আবদুল্লাহ জামান বলেন, অক্সফোর্ড-একিউএ প্রি-স্কুল প্রোগ্রামটি শুধু একাডেমিক উন্নয়নে নয়, বরং শিশুদের সৃজনশীলতা, আত্মবিশ্বাস এবং সামাজিক দক্ষতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখবে। এটি শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

আরো পড়ুন