তিন দফা দাবিতে যমুনা অভিমুখে লংমার্চে অংশ নেওয়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশ টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করেছে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক যমুনা নদীর দিকে পদযাত্রা শুরু করেন। তারা গুলিস্তান ও মৎস্য ভবন অতিক্রম করে কাকরাইল মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ হঠাৎ আক্রমণ চালায়।
এই হামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন, সাংবাদিক সোহান ফরাজি, মেহেদী হাসানসহ বহু আন্দোলনকারী আহত হন।
হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে বসে পড়েন। শিক্ষক নেতারা ঘোষণা দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
আন্দোলনকারীদের তিনটি মূল দাবি:
-
৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা কার্যকর
-
কাটছাঁট ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট অনুমোদন
-
দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্প দ্রুত একনেকে অনুমোদন
রমনা জোনের ডিসি মাসুদুল আলম জানান, সংঘর্ষে পুলিশেরও অন্তত ২০ জন সদস্য আহত হয়েছেন।