চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্তত ১,০৮০ জন ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এদের বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন। শুক্রবার (৩০ মে) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফেরত আসা এসব নাগরিকের মধ্যে প্রায় ৬২ শতাংশকে পাঠানো হয়েছে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অবৈধ অভিবাসন দমন ও ফেরত পাঠানো
বিবিসি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি গ্রহণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। শুধু চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই ১ হাজারের বেশি ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মার্কিন প্রশাসনের মতে, বর্তমানে প্রায় ১৮,০০০ ভারতীয়কে অবৈধ প্রবেশকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদেরও ফেরত পাঠানো হবে।
মার্কিন হুঁশিয়ারি ও সতর্কতা
মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, অবৈধভাবে অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চলতি মাসের শুরুতে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে অতিরিক্ত সময় অবস্থানকারীদের মার্কিন ভিসা বাতিল কিংবা স্থায়ীভাবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার ঝুঁকি রয়েছে—even তাদের ক্ষেত্রেও, যারা বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছেন।
শিক্ষার্থীদের নিয়েও উদ্বেগ
সংবাদ সম্মেলনে রণধীর জয়সওয়াল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যকার বিরোধ এবং শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ ভিসা সংক্রান্ত বিষয়েও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “বিদেশে অবস্থানকারী ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কল্যাণ সবসময় আমাদের অগ্রাধিকার। আমরা আশা করি, মার্কিন কর্তৃপক্ষ যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করবে এবং ভারতীয় শিক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে তাদের একাডেমিক প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবে।”
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নির্দেশ দিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে মার্কিন দূতাবাসগুলো যেন নতুন শিক্ষার্থী ভিসার ইন্টারভিউ না নেয়। এর ফলে, যারা এখন আবেদন প্রক্রিয়ায় রয়েছেন, তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।