চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে সোমবার তাকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
ফারিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি রাজধানীর ভাটারা থানায় ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে করা হয়। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ওই সময়কার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ২৮৩ জন সদস্য এবং আরও ৩-৪ শ’ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। বাদী এনামুল হকের অভিযোগ, নুসরাত ফারিয়াসহ শোবিজ অঙ্গনের আরও ১৬ জন তারকা অভিযুক্তদের অর্থ ও প্রভাব দিয়ে সহায়তা করেন।
গত রবিবার (১৮ মে) দুপুরে থাইল্যান্ড যাওয়ার উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে ইমিগ্রেশন পুলিশ ফারিয়াকে আটক করে। পরে তাকে ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং সোমবার আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক বিল্লাল ভূঁইয়া আদালতে ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করলে আদালত সেদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর মঙ্গলবার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
বর্তমানে নুসরাত ফারিয়া জামিনে মুক্ত, তবে মামলাটি এখনো তদন্তাধীন এবং আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোবিজ অঙ্গন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও মতবিনিময়।