নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ তুচ্ছ কারণে চাকরি হারানো কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে অবশেষে পুনর্বহাল করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন এবং তিনটি বাস্তব ঘটনার বর্ণনা দেন, যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পুরোনো অন্যায়ের চিত্র তুলে ধরে।
প্রথম ঘটনায়, একজন প্রভাষক ইন্টারভিউ এবং রিজেন্ট বোর্ডের অনুমোদনের পর চাকরিতে যোগ দেন। তবে যোগদানের পরদিনই তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ক্যাম্পাসে তার উপস্থিতির প্রয়োজন নেই—এরপর আর তাকে ফিরতেও দেওয়া হয়নি।
দ্বিতীয় ঘটনায়, আরেকজন প্রভাষক তিন মাস ধরে নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার পর হঠাৎ করে জানানো হয়, তার আর ক্লাস নেওয়ার দরকার নেই। এমনকি তাকে ঐ তিন মাসের কোনো বেতনও দেওয়া হয়নি।
তৃতীয় ঘটনায়, একজন কর্মকর্তা ছোট একটি প্রশাসনিক ভুলের জন্য চাকরি হারান। বহু বছর পরেও তিনি কোনো চাকরি পাননি। পিএইচডি সম্পন্ন করেও বাধ্য হয়ে মুদির দোকানে কাজ করতে হয় তাকে।
এইসব অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ড. রেজুয়ানুল হক লেখেন, “হ্যাঁ, এগুলো আমাদের নোবিপ্রবির গল্প। যাইহোক, আমরা এই তিনজনসহ আরও কিছু বঞ্চিত মানুষকে আবার চাকরিতে ফিরিয়ে এনেছি।”
তিনি জানান, চাকরি ফিরে পাওয়া ব্যক্তিদের চোখেমুখে যে কৃতজ্ঞতার ঝিলিক দেখেছেন, তা তার জীবনের অন্যতম বড় আনন্দের উৎস হয়ে থাকবে। রিজেন্ট বোর্ড, তদন্ত কমিটি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “বেঁচে থাকলে নাতি-নাতনিদের এসব গল্প শুনাবো।”
এই পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক জবাবদিহিতা এবং ন্যায়বিচারের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।