জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঢাকা মহানগর শাখার আয়োজনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং তাদের বিরুদ্ধে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবার (২ মে) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আওয়ামী লীগ এখন আর রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি ফ্যাসিস্ট দলে পরিণত হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিল করে সব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। সরকার যদি বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তবে জনতার আদালতেই তাদের বিচার হবে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গ্রেপ্তারকৃত আওয়ামী লীগ নেতাদের দ্রুত জামিন দেওয়া হচ্ছে এবং তারা নতুন নতুন দলে যোগ দিয়ে তৃণমূলে পুনর্বাসিত হচ্ছে।
সমাবেশে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, “আমরা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে সরকারই গড়িমসি করছে। আওয়ামী লীগের প্রশ্ন নিষ্পত্তি না করে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।”
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “ছাত্র ও জনতার সিদ্ধান্তেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা অনুরোধ করছি না, সিদ্ধান্ত জানাচ্ছি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”
উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “নয় মাস আগে শহীদ মিনারে আমরা রায় দিয়েছিলাম, আজ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে আবার সেই রায় পুনর্ব্যক্ত করছি, আওয়ামী লীগকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।”
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গুম ও খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, “গুম-খুনে জড়িত আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের সদস্যদের বিচার না করে তাদের নির্বাচন অংশগ্রহণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।”
দলটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের মত অনুযায়ী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।”