Ridge Bangla

‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে পোস্টের জেরে মুসলিম অধ্যাপক গ্রেফতার

‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে গ্রেফতার হয়েছেন মুসলিম অধ্যাপক আলি খান মেহমুদাবাদ। তিনি অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানে কর্নেল কুরেশির উপস্থিতিকে ‘লোক দেখানো’ এবং ‘ভণ্ডামিপূর্ণ’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন অধ্যাপক মাহমুদাবাদ। এর প্রেক্ষিতে হরিয়ানা রাজ্য মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করা হয়। কমিশনের অভিযোগ, তার বক্তব্যে সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও নারী বিদ্বেষের ইঙ্গিত রয়েছে।

এরপর তাকে নয়াদিল্লি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান হরিয়ানার সোনেপাতে। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা, এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ।

গত ৮ মে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে মাহমুদাবাদ লেখেন, “যে বিশ্লেষকেরা কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রশংসা করছেন, তারা একইভাবে বিজেপির ঘৃণার রাজনীতির শিকার মানুষদের সুরক্ষা দেওয়ার দাবিও তুলতে পারতেন।” তিনি আরও লেখেন, “দুই নারী সেনা কর্মকর্তার উপস্থাপন নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটি যদি বাস্তবে কোনো পরিবর্তন না আনে, তাহলে তা নিছক ভণ্ডামি ছাড়া কিছু নয়।”

হরিয়ানা নারী কমিশনের মতে, তার বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনীর নারী কর্মকর্তাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে এবং তা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

তবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন অধ্যাপক মাহমুদাবাদ। তার দাবি, “আমি একজন নাগরিক হিসেবে সেনা ও সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকেই গুরুত্ব দিয়েছি। আমার বক্তব্য নারীবিদ্বেষ নয় বরং সকল নাগরিকের প্রতি সমান আচরণের আহ্বান।”

আরো পড়ুন