রাজধানীর শেখেরটেক থেকে জুলাই আন্দোলনে শহীদ হওয়া এক ব্যক্তির ১৭ বছর বয়সী কলেজছাত্রী কন্যার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে নিজ বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত তরুণীর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকিতে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরে ১৯ জুলাই পুলিশের গুলিতে আহত হন তার বাবা। পরে ১০ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি ফেরার পথে মেয়েটি দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। অভিযুক্তরা ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায় এবং মেয়েটিকে চুপ থাকতে বাধ্য করে।
পরিবারের পরামর্শে ২০ মার্চ থানায় অভিযোগ করা হয়, যা পরে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলায় দুই আসামির নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ দ্রুত একজনকে স্থানীয় এলাকা থেকে এবং অপরজনকে পিরোজপুরের নাজিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। আদালতের নির্দেশে দুজনকেই যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
আদাবর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল চন্দ্র ধর জানান, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, পুলিশ ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।