Ridge Bangla

বিপদের নাম বজ্রপাত, একদিনেই নিহত ১৭

আবহাওয়ার আচমকা পরিবর্তনের মধ্যে দেশে ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে প্রাণঘাতী বজ্রপাত। গতকাল দেশের বিভিন্ন জেলায় বজ্রাঘাতে একদিনেই ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও শরীয়তপুরে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের নয়টি অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস থাকায় নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বজ্রপাতে নিহতদের বিবরণ

কুমিল্লা

বরুড়া, মুরাদনগর ও দেবিদ্বারে বজ্রপাতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। বরুড়ার পয়ালগচ্ছ গ্রামে মাঠে খেলার সময় বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই স্কুলছাত্র—ফাহাদ হোসেন ও সায়মন হোসেন (দুজনই ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী)।
মুরাদনগরে কৃষি জমিতে কাজের সময় মারা যান নিখিল চন্দ্র দেবনাথ ও জুয়েল ভূঁইয়া।
দেবিদ্বারে ধান আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান শিশু মীম আক্তার (১০)।

কিশোরগঞ্জ

অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে বজ্রপাতে মারা যান ইন্দ্রজিত দাস (৩০), স্বাধীন মিয়া (১৪) এবং ফুলেছা বেগম (৬০)।

নেত্রকোনা

মদন উপজেলায় আরাফাত মিয়া (১০) এবং কলমাকান্দায় মাদ্রাসাশিক্ষক দিদারুল হক বজ্রপাতে প্রাণ হারান।

হবিগঞ্জ

বানিয়াচং উপজেলার হাওরে বজ্রাঘাতে কৃষিশ্রমিক দূর্বাসা দাস (৩৫) নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন।

সুনামগঞ্জ

শাল্লার বুড়িগাঙ্গাল হাওরে বজ্রপাতে মারা যান কলেজছাত্র রিমন তালুকদার।

চাঁদপুর

কচুয়ার নাহারা গ্রামে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় কিষানি বিশাখা সরকারের (৩৫)।

মৌলভীবাজার

বড়লেখার শ্রীধরপুর গ্রামে ধান কাটার সময় চা-শ্রমিক মাখন রবি দাস (৪৮) নিহত হন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বাঞ্ছারামপুরে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মারা যান কৃষক মানিক মিয়া (৬০)। আহত হন হানিফ মিয়া (৬৫)।

শরীয়তপুর

ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নে বজ্রপাতে মারা যান সেফালী বেগম (৩৫)।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস

দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। এরপর তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকাল রাজধানীর গুলশান, বাড্ডা, মহাখালী, আগারগাঁও ও সংসদ ভবন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে, যা গরমে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে নগরবাসীর মধ্যে।

আরো পড়ুন