Ridge Bangla

আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা ফাঁস, কী বলছে গোয়েন্দা তথ্য

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকারের সময় পুলিশের একচেটিয়া ব্যবহার ও অপব্যবহারের কারণে জনমনে এখনো পুলিশের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া বিরাজমান। এই প্রেক্ষাপটে পুলিশের মনোবলে ধস নেমেছে, যা চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।

সম্প্রতি দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করেছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একটি সুসংগঠিত পরিকল্পনার আওতায় ঢাকায় একত্রিত হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য—রাজধানীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পুলিশকে সঠিকভাবে কাজ করতে না দেওয়া এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় চরম ব্যাঘাত ঘটানো।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এসব অপতৎপরতার পেছনে উদ্দেশ্য হলো—আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে সাধারণ জনগণকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ করে তোলা। সূত্র আরও জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত সাত মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর প্রায় পাঁচ শতাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার অধিকাংশই সংঘটিত হয়েছে পূর্বপরিকল্পিতভাবে জনসমাগমের মধ্য থেকে।

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের সমর্থনকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করেই চালানো হচ্ছে এসব বিভ্রান্তিকর প্রচারণা।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে এমন হামলা ও অপপ্রচার দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে এবং তা দ্রুত দমন না করলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আরও বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে।

আরো পড়ুন