দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাজের দক্ষতা প্রমাণের পর কুয়েত সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন পেশায় শ্রমিক ভিসার প্রক্রিয়া শিথিল করেছে। এই সিদ্ধান্তে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি, যারা এতদিন ধরে নানা বাধার মুখে ভিসা প্রাপ্তিতে ভোগান্তি পোহাচ্ছিলেন।
মঙ্গলবার বিকেলে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মনিরুজ্জামান, মিনিস্টার (শ্রম) আবুল হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা।
সভায় রাষ্ট্রদূত বলেন, ভিসার ধরন ও শর্ত সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিয়েই যেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা কুয়েতে আসেন, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। দূতাবাসের মাধ্যমে সত্যায়িত ভিসায় আসা শ্রমিকদের কেউ প্রতারণার শিকার হলে দূতাবাস তাদের হয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিকরা মতবিনিময় সভায় অভিযোগ করেন, ভিসার প্রকৃত ধরন গোপন রেখে উচ্চমূল্যে ভিসা বিক্রি ও ভিসা ব্যবসায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার পদক্ষেপ নিতে হবে। তারা সরকারি পর্যায়ে কম খরচে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও সহজ করার দাবি জানান।
রাষ্ট্রদূত সকল প্রবাসীকে যেকোনো সমস্যা বা প্রশ্ন নিয়ে দূতাবাসের নির্ধারিত বিভাগ থেকে সরাসরি সেবা নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সাল থেকে কুয়েত সরকার বাংলাদেশসহ আফগানিস্তান ও ইরানের মতো কিছু দেশের শ্রমিক ভিসা প্রক্রিয়ায় কঠোরতা আরোপ করেছিল। বর্তমানে কুয়েতে প্রায় ৩ লক্ষ বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন।