রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোতে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য রোধে র্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে শুরু হয়েছে যৌথ অভিযান। রোববার (১ জুন) বেলা ১১টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব-২ এর স্কোয়াড্রন লিডার নিফাজ রহমান। এই সময় আশপাশের হৃদরোগ ইনস্টিটিউটসহ আরও কয়েকটি সরকারি হাসপাতালেও অভিযান চালানো হয়।
অভিযান চলাকালে রোগী ভাগিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নেওয়ার অভিযোগে সাতজন দালালকে আটক করা হয়। পরে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হোসেন তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।
তিনি জানান, “অভিযানে নারীসহ কয়েকজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।”
দালাল নির্মূল নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা একটি গবেষণার বিষয়—দালাল থেকে সাধারণ মানুষকে কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে। পাশাপাশি যেসব বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল দালাল ব্যবহার করে রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তা চলছে।”
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারি হাসপাতালের পরিবেশ রক্ষা এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানি থেকে মুক্ত রাখতেই ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।