শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে নিয়োগের মাত্র তিন সপ্তাহের মাথায় পদত্যাগ করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। বৃহস্পতিবার (২২ মে) তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়েটের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান।
এর আগে বুধবার (২১ মে) কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. ফারুক হোসেন জানান, উপাচার্য ড. হযরত আলীর ওপর অনাস্থা জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি এবং সংকট নিরসনে তার পদত্যাগ দাবি করেছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে কুয়েটে শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই আন্দোলনের ফলে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরীফুল আলমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় সরকার। পরবর্তীতে ১ মে চুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সংঘর্ষ ও শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচারিক প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার অভিযোগে শিক্ষকরা আবারও আন্দোলনে নামে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দুর্বার বাংলা’ ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এক মানববন্ধনে অংশ নেন। তাদের দাবি ছিল—উপাচার্যকে অপসারণ করে দ্রুত একজন যোগ্য উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে।
আন্দোলনের চাপে গত সোমবার (১৯ মে) ড. হযরত আলী খুলনা ত্যাগ করে ঢাকায় যান এবং অবশেষে বৃহস্পতিবার পদত্যাগপত্র জমা দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।