পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের ওপর সামরিক হামলা চালাতে পারে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে জড়িয়ে ভারত যে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছে, তা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ভারত এ ধরনের আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন-এর বুধবারের (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। আতাউল্লাহ তারার বলেন, পাকিস্তানের কাছে বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে, যা ভারতীয় আগ্রাসনের এই আশঙ্কাকে জোরালো করে। একই রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে কাশ্মীর হামলার প্রতিক্রিয়ায় ‘অভিযান চালানোর পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেওয়ার ঘোষণার পরপরই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ বক্তব্য আসে।
আতাউল্লাহ আরও বলেন, “আমরা ভারতের স্বঘোষিত বিচারক, জুরি ও শাস্তিদাতা হিসেবে কাজ করার প্রবণতা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি একটি বেপরোয়া আচরণ। পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদের শিকার দেশ। আমরা সন্ত্রাসবাদ ও তার যেকোনো রূপের বিরুদ্ধে সবসময় অবস্থান নিয়েছি।”
তিনি জানান, সত্য উদঘাটনের লক্ষ্যে পাকিস্তান একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু ভারত এই প্রস্তাব উপেক্ষা করে যুদ্ধোন্মত্ত ও অযৌক্তিক পথ অনুসরণ করছে, যার ফলাফল হবে গোটা উপমহাদেশ এবং আশপাশের অঞ্চলের জন্য মারাত্মক।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের যেকোনো সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের জবাব “জোরালো ও স্পষ্টভাবে” দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করে দেন যে, যদি এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ে, তার পূর্ণ দায়ভার ভারতকেই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান তার সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে প্রস্তুত এবং এ বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার অটল।