পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক ব্যতিক্রমী ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গভীর রাতে ডাকাত দল ঘরে ঢুকলে ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক গৃহকর্তা। অবাক করার মতো বিষয় হলো, ডাকাতরা তাকে পানি খাইয়ে, সেবা-যত্ন করে সুস্থ করার পরই স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে যায়।
সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই বাড়ির দুটি ঘরে চালানো হয় ডাকাতি—একটি ওষুধ ব্যবসায়ী সোবাহান হাওলাদারের এবং অন্যটি তার ভাতিজা স্কুলশিক্ষক জহিরুল ইসলামের।
ভুক্তভোগী সোবাহান হাওলাদার জানান, “রাত দুইটার দিকে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় মুখোশধারী একদল ডাকাত দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে। তারা আমাদের চোখ-মুখ কাপড়ে বেঁধে ফেলে এবং নিজেদের ডাকাত পরিচয় দেয়। আমি ভয় পেয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ি। তখন তারা আমাকে পানি খেতে দেয়, মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দেয়। পরে তারা আলমারি ভেঙে ১ ভরি স্বর্ণের চেইন, ১০ হাজার টাকা ও কিছু মূল্যবান জিনিস নিয়ে যায়।”
তিনি আরও জানান, “ডাকাতরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি, কারণ আমরা চিৎকার করিনি।”
একই রাতে পাশের আধাপাকা ঘরে থাকা তার ভাতিজা জহিরুল ইসলাম, যিনি স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, তার ঘরেও হানা দেয় ডাকাত দল। সেখান থেকেও প্রায় ২.৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২৮ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
সব মিলিয়ে দুই ঘর থেকে মোট সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ৩৮ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুট করা হয়েছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা। মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম হাওলাদার বলেন, “ঘটনাস্থল আমরা পরিদর্শন করেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”